• ১১ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার ২৭ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ipl 2022

খেলার দুনিয়া

‌আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অন্য লক্ষ্য স্থির করে ফেলেছেন হার্দিক

২০১৫ সাল থেকে আইপিএলে খেলছেন। পাঁচ বার ফাইনালে উঠে পাঁচ বারই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য নজির গড়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। কিন্তু এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্বই আলাদা তাঁর কাছে। কারণ এবারই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলের রঙ্গমঞ্চে। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই বাজিমাত। তবে এখানেই থেমে থাকতে চাননা হার্দিক। তাঁর এবার লক্ষ্য দেশকে বিশ্বকাপ এনে দেওয়া।গুজরাট টাইটান্সকে ট্রফি জেতানোর পর হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, একসময় দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। সেই স্বপ্ন পূরম হয়েছে। দেশের হয়ে খেলার সময় সকলের সমর্থন ও ভালবাসা পেয়েছি। আমি সবসময় দেশের সাফল্যকে প্রাধান্য দিয়ে এসেছি। এবার দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছি। চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। আশা করছি সফল হব।হার্দিক আরও বলেন, আমি বরাবরই দায়িত্ব নিতে ভালবাসি, সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করি। আমি যদি সামনে দাঁড়িয়ে পতাকা বহন করতে পারি, তাহলে সতীর্থদের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারব। আইপিএলে ৫ বার ফাইনালে উঠে ৫ বারই চ্যাম্পিয়ন হলাম। এবারের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এবছরই প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। আমার আর একটা লক্ষ্য রয়েছে। দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা।টি২০ ক্রিকেট নাকি ব্যাটারদের খেলা। হার্দিকের মত অবশ্য ভিন্ন। তিনি মনে করেন, ব্যাটাররা কয়েকটা ম্যাচ জেতাতে পারে। কিন্তু ধারাবাহিকভাবে জিততে গেলে ভাল বোলিং শক্তি দরকার। আইপিএলের মেগা নিলামে সেই দিকেই নজর দিয়েছিলেন বলে জানান হার্দিক। তাঁর কথায়, আমি আর বোলিং কোচ আশিস নেহরা ঠিক করেছিলাম, অভিজ্ঞ বোলিং শক্তি তৈরি করব। সেই লক্ষেই সামি, রশিদ, ফার্গুসনদের দলে নিয়েছিলাম। অভিজ্ঞ বোলারদের নিয়ে দল তৈরির সুফল পেয়েছি। বোলাররা প্রতি ম্যাচেই ১০২০ রান কম দিয়েছে। ওই রানগুলোই ম্যাচের ফয়সালা করে দিয়েছে। এবছর প্রতিটি ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন হার্দিকের স্ত্রী নাতাশা স্তানকোভিচ। স্ত্রী ও পরিবার তাঁর সব থেকে বড় শক্তি বলে জানিয়েছেন হার্দিক। তিনি বলেন, নাতাশা আমার লড়াইয়ের সাক্ষী। ওই আমার অনুপ্রেরণা। আমি কতটা পরিশ্রম করেছি সেটা ও জানে। আমি সফল হওয়ায় ওর খুব আনন্দ হয়েছে। উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিল।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

প্রথম নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস হার্দিক পান্ডিয়ার

চলতি আইপিএলে কি নতুন চ্যাম্পিয়ন দেখতে পাবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা? না, দ্বিতীয় বারের জন্য আবার রাজস্থান রয়্যালসের হাতে উঠবে ট্রফি? আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রশ্নটা রবিবাসরীয় সন্ধেয় বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল। ঘরের দলকে সমর্থন জানাতে এদিন গ্যালারি ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। ক্রিকেটপ্রেমীদের হতাশ হতে হয়নি। দ্বিতীয় বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল রাজস্থান রয়্যালসের। রাজস্থানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলে অভিষেকেই চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। প্রথমবার নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পেয়েই ইতিহাস গড়লেন হার্দিক পান্ডিয়া।গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস বড় রানের জন্য তাকিয়েছিল জস বাটলারের দিকে। বাটলার ব্যর্থ হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় রাজস্থানের। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩০ রানের বেশি তুলতে পারেননি। জয়ের জন্য ১৩১ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না গুজরাট টাইটান্সের কাছে। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ঋদ্ধিমান সাহার স্টাম্প ছিটকে দেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। ৭ বলে মাত্র ৫ রান করে আউট হন ঋদ্ধি। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ম্যাথু ওয়েডকে তুলে নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন ওয়েড।🏆 ➡️ 🎂 #SeasonOfFirsts #AavaDe #IPLFinal #GTvRR pic.twitter.com/eDUCgtQZgD Gujarat Titans (@gujarat_titans) May 29, 2022ওয়েড যখন আউট হন গুজরাট টাইটান্সের রান তখন ৪.৩ ওভারে ২৩/২। এরপর রাজস্থান রয়্যালসের বোলার ওপর ক্রমশ চাপ তৈরি করতে শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া ও শুভমান গিল। এই দুই ব্যাটার পার্টনারশিপ গড়ে তুলে গুজরাটকে ক্রমশ জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ১৪ তম ওভারের দ্বিতীয় বলে জুটি ভাঙেন যুজবেন্দ্র চাহাল। হার্দিক পান্ডিয়াকে তুলে নেন। ৩০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন হার্দিক। গুজরাটের রান তখন ৮৬। এরপর দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন শুভমান গিল (৪৩ বলে অপরাজিত ৪৫) ও ডেভিড মিলার (১৯ বলে ৩২)। ১৮.১ ওভারে ১৩৩/৩ তুলে ম্যাচ জিতে যায় গুজরাট টাইটান্স।টস জিতে এদিন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়ার দুর্দান্ত বোলিং ও নেতৃত্ব একবারে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালসকে। যশস্বী জয়সোয়ালকে (১৬ বলে ২২) তুলে নিয়ে রাজস্থানকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন যশ দয়াল। তারপর বাইশ গজে আগুন ঝড়ান হার্দিক। তাঁর শিকারের তালিকায় সঞ্জু (১১ বলে ১৪), বাটলার (৩৫ বলে ৩৯), হেটমায়ার (১২ বলে ১১)। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ খান। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ৩০, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত বোলিং ও নেতৃত্ব, হার্দিক পান্ডিয়াই ব্যাকফুটে পাঠিয়ে দিল রাজস্থানকে

চলতি আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের ফাইনালে ওঠার পেছনে সবথেকে বেশি অবদান জস বাটলারের। একার হাতেই দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ফাইনাল বৈতরণী পার হওয়ার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল গোটা দল। ফইনালে জ্বলে উঠতে পারলেন না জস বাটলার। বাকিরাও দায়িত্ব নিতে পারলেন না। হার্দিক পান্ডিয়ার দুরন্ত বোলিংয়ের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল রাজস্থান রয়্যালস। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৩০/৯। আগের ম্যাচে আমেদাবাদের বাইশ গজে দ্বিতীয় ইনিংসে স্পিনারদের সাহায্য পেতে দেখেছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। সেকথা মাথায় রেখে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। মহম্মদ সামি ও যশ দয়ালের প্রথম দুই ওভারে তেমন সুবিধা করতে পারেননি রাজস্থানের দুই ওপেনার জস বাটলার ও যশস্বী জয়সোয়াল। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে গিয়ে যশ দয়ালকে উইকেট তুলে দেন যশস্বী। ১৬ বলে ২২ রান করে তিনি সাই কিশোরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। যশস্বী আউট হওয়ার পর বাটলারের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। রাজস্থানের স্ট্র্যাটেজি ছিল বাটলার ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেবেন, বাকি ব্যাটাররা আক্রমণের রাস্তায় যাবেন। কিন্তু সঞ্জুকে ঝড় তোলার সুযোগে দেননি গুজরাট টাইটান্স অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে সঞ্জুকে (১১ বলে ১৪) তুলে নেন। ব্যাট করতে নেমে দেবদত্ত পাড়িক্কলও হার্দিক, রশিদ খানদের বিরুদ্ধে একেবারেই সাবলীল ছিলেন না। পাড়িক্কল ক্রিজে আসতেই রশিদকে আক্রমণে নিয়ে আসেন হার্দিক। সাফল্যও পান। পাড়িক্কলকে (২) তুলে নেন রশিদ। আইপিএলের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে বোলারদের শাসন করে গেছেন জস বাটলার। তাঁর ব্যাটিংয়ের বৈশিষ্ট্য হল শুরুর দিকে খুব বেশি আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন না। ইনিংস গড়ার দিকে নজর দেন। পরের দিকে ঝড় তোলেন। এদিন অবশ্য তাঁকে ঝড় তোলার সুযোগ দেননি হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিকের অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ঋদ্ধিমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বাটলার। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। বাটলার আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজস্থান রয়্যালসের বড় রানের ইনিংস গড়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। শিমরন হেটমায়ার (১১), রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৬), ট্রেন্ট বোল্টরা (১১) দায়িত্ব নিতে পারেননি। দুরন্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন হার্দিক। ১৮ রানে ১ উইকেট নেন রশিদ খান। ২০ রানে ২ উইকেট নেন সাই কিশোর।

মে ২৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি!‌ ঝড় তুলে রাজস্থানকে ফাইনালে তুললেন বাটলার

চলতি আইপিএলে চতুর্থ সেঞ্চুরি। অপরাজিত রইলেন ১০৬ রানে। দুরন্ত বাটলারের ঝড়ে উড়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে আইপিএলের ফাইনালে রাজস্থান রয়্যালস। সামনে আবার সেই গুজরাট টাইটান্স। প্রথম কোয়ালিফায়ারে হারের মধুর প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ।এলিমিনেটরে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন দেখেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু তাঁদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য তৈরি ছিল সঞ্জু স্যামসনের দল। গুজরাট টাইটান্সের কাছে হার মেনে নিতে পারেনি রাজস্থান রয়্যালস। ডেভিড মিলারের হাতে এক ওভারে পরপর তিনটি ছক্কা খাওয়াটাও হজম হয়নি প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর। এদিন দুরন্ত বল করে ২২ রানে নেন ৩ উইকেট। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বিরুদ্ধে প্রায়াশ্চিত্য করে গেলেন। ওবেদ ম্যাকয়ও গুজরাটের বিরুদ্ধে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ফাফ ডুপ্লেসির দলের বিরুদ্ধে সব পুষিয়ে দিলেন। তিনি ২৩ রানে নেন ৩ উইকেট। এই দুই বোলারের দাপটেই প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৭/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। সর্বোচ্চ রান করেন রজত পতিদার (৪২ বলে ৫৮)।রাজস্থান রয়্যালসের যা ব্যাটিং শক্তি, জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না। তার ওপর লিগ পর্বে শেষ তিন ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ছন্দ ফিরে পেয়েছেন জস বাটলার। আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই এদিন শুরু করেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক। শুরু থেকেই চেপে বসেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের বোলারদের ওপর। যশস্বী জয়সোয়ালও ভাল শুরু করেছিলেন। ওপেনিং জুটিতে ৫ ওভারে ওঠে ৬১। এরপরই ফিরে যান যশস্বী জয়সোয়াল। ১৩ বলে ২১ রান করে তিনি জস হ্যাজেলউডের বলে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।যশস্বী আউট হলেও বাটলারের ঝড় অব্যাহত থাকে। মাত্র ২৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। হাসারাঙ্গাকে স্টেপ আউট করে মারতে গিয়ে তিনি স্টাম্পড হন। ১৫ ওভারের চতুর্থ বলে হাসারাঙ্গাকে ৬ মেরে চলতি আইপিএলে ৮০০ রান পূর্ণ করেন বাটলার। এক বল পরেই হাসারাঙ্গাকে আবার ৬ হাঁকিয়ে ৮৮ রানে পৌঁছে যান তিনি। জয় থেকে যখন ১০ রান দুরে তখনই আউট হন দেবদত্ত পাড়িক্কল। ১২ বলে ৯ রান করে হ্যাজেলউডের বলে তিনি সাজঘরে ফেরেন। নিজের ছন্দ ধরে রেখে এরপর সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন জস বাটলার। ৬০ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১১ বল বাকি থাকতেই ১৬১/৩ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান।

মে ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার জ্বলে উঠলেন রজত পতিদার, তবু বড় রান তুলতে ব্যর্থ র‌য়্যাল চ্যালেঞ্জার্স

কথায় আছে না, কারও সর্বনাশ কারও পৌস মাস। রজত পতিদারের কপালটাই তেমন। আইপিএলের শুরুতেই লাভনিথ সিসোদিয়া চোট পেয়ে ছিটকে যান। তাঁর পরিবর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে খেলার সুযোগ রজত পতিদারের। এলিমিনেটরে তাঁর দুরন্ত সেঞ্চুরি ফাইনালের লাইফ লাইন এনে দিয়েছিল। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারেও জ্বলে উঠল রজত পতিদারের ব্যাট। তাঁর ৫৮ রানের সুবাদে রাজস্থান রয়্যালসের সামনে জয়ের জন্য ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর।বিরাট কোহলি রান না পেলেও বড় রানে পৌঁছতে এখন আর কোনও সমস্যা হয় না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের। আগের ম্যাচে ২৫ রান করেছিলেন কোহলি। তাসত্ত্বেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স কিন্তু ২০০ রানের গন্ডি টপকে গিয়েছিল। এদিনও কোহলি ব্যর্থ। তা সত্ত্বেও লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। এবছর কোহলি যদি ফাইনাল খেলার সুযোগ পান তাহলে কিন্তু রজত পতিদারের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।আমেদাবাদের নরেন্দ্র সিং মোদি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে এদিন টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাট করতে পাঠান রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ওভারের শেষ বল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। মনে হচ্ছিল আজ বুঝি কোহলির দিন। কিন্ত ভক্তদের হতাশ করে আবার ব্যর্থ। দ্বিতীয় ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বল ব্যাটের কানায় লাগিয়ে উইকেটের পেছনে সঞ্জু স্যামসনেরল হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন কোহলি। ৮ বলে তিনি করেন মাত্র ৭ রান। প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে এক ওভারে পরপর তিনটি ৬ খেয়ে দলকে ডুবিয়েছিলেন প্রসিদ্ধ। এদিন কোহলিকে তুলে নিয়ে প্রায়াশ্চিত্য করেন।কোহলি ফিরে যাওয়ার পর দলকে টেনে নিয়ে যান অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি ও রজত পতিদার। ২৭ বলে ২৫ রান করে ওবেদ ম্যাকয়ের বলে আউট হন ডুপ্লেসি। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। ১৩ বলে ২৪ রান করে তিনি ট্রেন্ট বোল্ডের বলে ওবেদ ম্যাকয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ১ ওভার পরেই বড় ধাক্কা খায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বল গ্যালারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন রজত পতিদার। লং অফ বাউন্ডারিতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন জস বাটলার। ৪২ বলে ৫৮ রান করে আউট হন রজত। ডেথ ওভারে দীনেষ কার্তিক (৬), শাহবাজ আমেদ (৮ বলে অপরাজিত ১০), হাসারাঙ্গারা (০) জ্বলে উঠতে না পারায় ২০ ওভারে ১৫৭/৮ রানের বেশি তুলতে পারেনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দুরন্ত বোলিং করে ২২ রানে ৩ উইকেট নেন প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন ওবেদ ম্যাকয়।

মে ২৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‘‌হর্ষল ১৪–১৫ কোটি পাওয়ার যোগ্য’‌, কেন একথা বললেন শেহবাগ?‌

বুধবার এলিমিনেটর ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৪ রানে হারিয়ে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। মূলত রজত পতিদারের দুরন্ত ১১২ রানের সুবাদে ফাফ ডুপ্লেসির দল প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে তোলে ২০৭/৭। বল হাতে জস হ্যাজেলউড এবং হর্ষল প্যাটেলের ডেথ ওভারের বোলিং জয় এনে দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। বেঙ্গালুরুর জয়ের আসল নায়ক যদি ধরা হয়, তাহলে উঠে আসবে হর্ষল প্যাটেলের নাম। কারণ লখনউ সুপার জায়ান্টদের বিরুদ্ধে খেলায় হর্ষল অত্যন্ত মিতব্যয়ী ছিলেন। ৪ ওভারে দেন মাত্র ২৫ রান। তুলে নেন ১ উইকেট। প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেহবাগ এলিমিনেটরে হর্ষল প্যাটেলের চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স নিয়ে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। তাঁর মতে, পারফরম্যান্সের তুলনায় হর্ষল নিলামে অনেক কম টাকা পেয়েছেন। আইপিএলে ১৪১৫ কোটি টাকা পাওয়ার যোগ্য হর্ষল। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটের অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্র শেহবাগ বলেন, আমরা সবসময় কথা বলি কীভাবে রাহুল তেওয়াটিয়া তার ১০ কোটি টাকার ট্যাগের প্রতি সুবিচার করে। কারণ সে গুজরাট টাইটান্সকে ম্যাচ জিতিয়েছে। হর্ষল প্যাটেল বেঙ্গালুরুর হয়ে যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে ওর দাম এখনও বেশ কম। ও দলকে যতগুলি ম্যাচ জিতিয়েছে, তাতে আমি মনে করি, ১০.৭৫ কোটি টাকা ওর মূল্য কম। হর্ষলের ১৪১৫ কোটি টাকার ক্যাটাগরিতে থাকা উচিত। শেহবাগ আরও বলেন, হর্ষল স্লগ ওভারে বোলিং করছে, উইকেট পাচ্ছে এবং ম্যাচ বাঁচাচ্ছে। কখনও কখনও শুরুর দিকে বোলিং করে কম রান দিয়ে উইকেটও তুলে নিয়েছে। তাই আমি মনে করি হর্ষল এই শ্রেণিতে থাকার যোগ্য। এখন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর কোয়ালিফায়ার ২তে উঠেছে। এরজন্য হয়তো আরসিবি তাকে একটি বোনাস দিতে পারে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর আমেদাবাদে ২৭ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে কোয়ালিফায়ার ২এর ম্যাচ খেলবে।শুধু বীরেন্দ্র শেহবাগই নন, লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও মেনে নিয়েছেন তাঁর দল হর্ষল প্যাটেলের বোলিংয়ের কাছেই হেরেছে। ম্যাচের পর লোকেশ রাহুল বলেন, মাঝের ২ ওভার দুর্দান্ত বোলিং করে হর্ষল ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল। ওই সময় আমরা বড় শট খেলতে পারিনি। ডেথ ওভারেও ভাল বোলিং করেছিল। যদি মাঝের ওভারগুলিকে কয়েকটা বাউন্ডারি কিংবা ওভার বাউন্ডারি মারতে পারতাম, তাহলে আমাদের কাজটা সহজ হয়ে যেত।

মে ২৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

কোহলির মঞ্চে ইডেন মাতিয়ে নায়ক রজত পতিদার

বিরাট কোহলির আকর্ষনেই বুধবার ইডেন ভরিয়েছিলেন দর্শকরা। কোহলি কিন্তু হতাশ করলেন ইডেনকে। তাঁর ব্যর্থতা ঢেকে ক্রিকেটের স্বর্গোদ্যান মাতিয়ে গেলেন রজত পতিদার। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে এলিমিনেটরের প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ২০৭/৪। দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন রজত পতিদার।ইডেনের আকাশ জুড়ে কালো মেঘের ঘনঘটা। বৃষ্টিও শুরু হয়েছিল। তড়িঘড়ি গোটা ইডেন ঢাকা হয় সাদা কভারে। আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, আদৌও ম্যাচ হবে তো? বৃষ্টি বন্ধ হতেই উঠল কভার। ম্যাচ শুরু হল নির্ধারিত সময়ের ৪০ মিনিট পর। টস জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সকে ব্যাট করতে পাঠান লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল।ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে আউট রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসি। এদিন তিনি গোল্ডেন ডাকের শিকার। কোনো রান না করেই মহসিন খানের বলে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডিককের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।ইডেনের দর্শকরা এদিন মাঠ ভরিয়েছিলেন কোহলির টানে। কোহলিপ্রেমীরা আশা করেছিলেন মাঠ মাতাবেন তাঁদের প্রিয় ক্রিকেটার। ভাল শুরুও করেছিলেন। ব্যাটে লম্বা ইনিংসের ইঙ্গিত ছিল। কিন্তু ইডেনের গ্যালারির প্রত্যাশাপূরণ করতে পারলেন না কিং কোহলি। ২৪ বলে ২৫ রান করে আবেশ খানের বলে মহসিন খানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ১০ বলে মাত্র ৯ রান করে তিনি ক্রূণাল পান্ডিয়ার বলে এভিন লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।দলের সেরা ব্যাটাররা আউট হলেও ইডেনের বাইশ গজে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেন রজত পতিদার। ২৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। এরপর তাঁকে আর আটকানো যায়নি। একবার জীবন পেয়ে রীতিমতো তান্ডব শুরু করেন। মহসিন খানকে ৬ মেরে আইপিএলে জীবনের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তাঁর সেঞ্চুরি আসে মাত্র ৫১ বলে। একটা সময় মনে হচ্ছিল বড় রানে পৌঁছতে পারবে না রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু রজত পতিদারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ২০০ রানের গন্ডি টপকে যায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। ৫৪ বলে ১১২ রান করে অপরাজিত থাকেন পতিদার। তাঁকে সহযোগিতা করেন দীনেশ কার্তিক (২৩ বলে অপরাজিত ৩৭)। মহীপাল লোমরোর করেন ১৪। লখনউর হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মহসিন খান, ক্রূণাল পান্ডিয়া, আবেশ খান ও রবি বিষ্ণোই।

মে ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ডিআরএসের ব্যাপারে ঋষভ পন্থ কি পারবেন রোহিতের ভরসা হতে?‌‌

মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে হেরে প্লে অফের স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। দিল্লি ক্যাপিটালসের প্লে অফে উঠতে না পারার পেছনে অনেকেই অধিনায়ক ঋষভ পন্থকে দায়ি করেছেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে তাঁর ভুলের মাশুল দিতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। প্রথমে শার্দূল ঠাকুরের বলে তিনি ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ক্যাচ ফেলেছিলেন। পরের বলেই টিম ডেভিভের ক্যাচ তালুবন্দী করেন। আম্পায়ার ডেভিসকে আউট দেননি। কিন্তু ডিআরএস নেননি ঋষভ। যার মাশুল দিতে হয়েছিল দিল্লিকে। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ১১ বলে ৩৪ রান করে মুম্বইকে জয় এনে দিয়েছিলেন ডেভিস।দলের চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ঋষভ পন্থ। তাঁর ইনিংসের সৌজন্যে লড়াই করার অক্সিজেন পেয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। কিন্তু ঋষভের নেতৃত্বের ভুলেই ম্যাচ থেকে ছিকটে যেতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। টিম ডেভিসের ক্যাচের সময় ঋষভ ডিআরএস নিলে হয়তো প্লে অফ থেকে ছিটকে যেতে হত না দিল্লিকে।ডিআরএসের ব্যাপারে ঋষভকে আরও পরিনত হতে হবে। না হলে ভবিষ্যতে ভারতীয় দলকে সমস্যায় পড়তে হবে। ভারতীয় দলে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলির মতো ঋষভকেই ডিআরএসের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ, উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে তিনিই সবথেকে ভাল পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ঋষভ যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তার মাশুল দিতে হবে ভারতীয় দলকে।ঋষভকে নিয়ে ডিআরএস প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিনার ব্র্যাড হগ বলেছেন, ডিআরএস নেওয়ার ক্ষেত্রে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো ভারতীয় শিবিরের পন্থই একমাত্র সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী। পন্থ বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মার কাছে গিয়ে বলতে পারবে না, ও আউট হয়েছে, ডিআরএসের সিদ্ধান্ত তোমরা নাও। রিভিউ নেওয়ার দায়িত্ব শুধুমাত্র ঋষভ পন্তের। এই বলে দায়িত্বও এড়িয়ে যেতে পারবে না। রিভিউ নেওয়ার দায়িত্ব কেবলমাত্র ঋষভ পন্থের ওপর নির্ভর করবে।হগ আরও বলেছেন, টিম ডেভিডের ক্যাচ ধরে ঋষভ পন্থ ও শার্দূল ঠাকুর দারুণ প্রভাবিত হয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার আউট দেয়নি। ঋষভের উচিত ছিল ডিআরএস নেওয়া। ডেভিড ওঅসময় আউট হলে মুম্বইয়ের পক্ষে জেতা সম্ভব হত না। টিম ডেভিড দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসকে প্লে অফের লড়াই থেকে বাদ দিয়েছিলেন। কেন তিনি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনার জন্য যাননি? এই প্রসঙ্গে ঋষভ বলেন, বৃত্তের ভিতরে বেশিরভাগ সতীর্থর মনে হয়নি বল ডেভিডের ব্যাটে লেগেছিল।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

ইডেনে সামিদের বিরুদ্ধে কেন বাটলারের দিকে তাকিয়ে রাজস্থান?‌

ইডেনে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে নামছে রাজস্থান রয়্যালস। শিমরন হেটমায়ার, সঞ্জু স্যামসনরা থাকতেও জস বাটলারের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে রাজস্থান টিম ম্যানেজমেন্ট। শেষ কয়েকটা ম্যাচে নিজের সেরা ছন্দের ধারেকাছে দেখা যায়নি বাটলারকে। ফাইনালে ওঠার জন্য ইংল্যান্ডের এই ওপেনারের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় রাজস্থান। নিজেকে মেলে ধরার জন্য তৈরি বাটলারও। চলতি আইপিএলের লিগের প্রথম পর্বের ফর্মই তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।চলতি আইপিএলে লিগ পর্বে ১৪ ম্যাচে ৬২৯ রান করে অরেঞ্জ টুপি নিজের দখলে রেখেছেন। স্ট্রাইক রেট ১৪৭। সেঞ্চুরি করেছেন তিনটি, হাফ সেঞ্চুরিও তিনটি। কিন্তু শেষ তিনটি ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি বাটলার। শেষ তিন ইনিংসে দুঅঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি, তাঁর সংগ্রহ ২, ২ ও ৭। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম কোয়ালিফায়ারে তাঁর দিকে তাকিয়ে দল।ক্রিকেটের নন্দনকাননে কি জ্বলে উঠতে পারবেন জস বাটলার? হার্দিক পান্ডিয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে তাঁকে। চলতি আইপিএলে নিজের ফর্ম নিয়েও দারুণ খুশি তিনি। এদিন বাটলার বলেন, এবারের আইপিএলে নিজের ফর্ম নিয়ে আমি খুশি। তবে শেষ তিন ম্যাচের পারফরমেন্সে খুবই হতাশ। আইপিএলের প্রথম পর্বে আমার জীবনের অন্যতম সেরা ক্রিকেট খেলেছি। প্লে অফে মাঠে নামার আগে প্রথম পর্বের পারপরমেন্স আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে।জস বাটলারের পাশাপাশি রাজস্থান রয়্যালসকে প্লে অফে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল। ১৪ ম্যাচে তুলে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে তাঁর দিকেও তাকিয়ে দল। এবারের আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের জার্সি গায়ে চাপানোটা চাহালের কাছে দারুণ ব্যাপার। কারণ এই দলকেই আইপিএলের প্রথম মরশুমে শেন ওয়ার্নের মতো কিংবদন্তী স্পিনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে চাহাল বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে এটাই আমার প্রথম বছর। কিন্তু মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই এই দলে খেলছি। মানসিকভাবে খুব রিল্যাক্স আছি।চাহাল আরও বলেন, রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলাটা আমার কাছে আরও স্পেশাল, কারণ শেন ওয়ার্ন স্যার এই দলে খেলেছিলেন। আমার মনে হচ্ছে ওনার আশীর্বাদ আমার ওপরে রয়েছে। ওপর থেকে তিনি আমার ওপর নজর রাখছেন। শুধু বাটলার কিংবা চাহাল নয়, রবিচন্দ্রন অশ্বিনের দিকেও তাকিয়ে রাজস্থান। বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও বেশ কয়েকটা ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন অশ্বিন।

মে ২৩, ২০২২
খেলার দুনিয়া

মরণবাঁচন ম্যাচে এ কী হাল ঋষভদের!‌ বুমরার দাপটে ধসে গেল দিল্লি

আইপিএলের প্লে অফে তিনটি জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাকি একটা জায়গা। লড়াই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে। প্লে অফের টিকিটের জন্য এই মুহূর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হাতে কিছু নেই। দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ম্যাচের ফলাফলের ওপরই নির্ভর করছিল তাদের ভাগ্য।১৪ ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের পয়েন্ট ১৬। আর ১৩ ম্যাচে দিল্লির পয়েন্ট ১৪। নেট রানরেটে দিল্লি (+০.২৫৫) এগিয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরুর (-০.২৫৩) থেকে। সুতরাং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালস জিতলেই পেয়ে যাবে প্লে অফের টিকিট। আর ঋষভ পন্থরা হারলে প্লে অফে খেলার সুযোগ এসে যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে এই রকম মরণবাঁচন ম্যাচেও ব্যাটিং বিপর্যয় দিল্লি ক্যাপিটালসের। দলকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচালেন রভম্যান পাওয়েল ও অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। এই দুই ব্যাটারের সৌজন্যেই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছল দিল্লি। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৫৯/৭। টস জিতে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সুস্থ হয়ে ওঠায় দিল্লি এদিন ললিত যাদবের জায়গায় প্রথম একাদশে ফেরায় পৃথ্বী শকে। মরণবাঁচন ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য ডেভিড ওয়ার্নারের ফর্মে ফেরার দিকে তাকিয়ে ছিল দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু এদিনও ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে পারলেন ওয়ার্নার। ৬ বলে মাত্র ৫ রান করে তিনি তৃতীয় ওভারে ড্যানিয়েল স্যামসের বলে বুমরার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। পরের ওভারেই মিচেল মার্শকে (০) তুলে নেন যশপ্রীত বুমরা। এক ওভার পরেই তিনি ফেরান পৃথ্বী শকে। প্রথম একাদশে ফিরে এদিন ভাল শুরু করেছিলেন পৃথ্বী। কিন্তু বড় রান করতে পারলেন না। ২৩ বলে ২৪ রান করে তিনি আউট হন। সরফরাজ খানও (৭ বলে ১০) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৫০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে দিল্লি। এরপরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ ও রভম্যান পাওয়েল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৫। এই জুটিই মান বাঁচায় দিল্লির। ঋষভকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন রমনদীপ সিং। ৩৩ বলে তিনি করেন ৩৯। তারপরই আউট হল রভম্যান পাওয়েল। ৩৪ বলে তিনি করেন ৪৩। পাওয়েলের স্টাম্প ছিটকে দেন বুমরা। শেষ পর্যন্ত অক্ষর প্যাটেলের (১০ বলে ১৯) সৌজন্যে ১৫৯/৭ রানে পৌঁছয় দিল্লি। দুরন্ত বোলিং করে ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন যশপ্রীত বুমরা।

মে ২১, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুর্দান্ত লড়াই করেও স্বপ্ন শেষ নাইটদের, প্লে অফে লখনউ

নাটকীয় ম্যাচে ফয়সালা হল শেষ ওভারে। দুর্দান্ত লড়াই করেও শেষরক্ষা করতে পারল না নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আয়ারের দলকে ২ রানে হারিয়ে প্লে অফে পৌঁছে গেল লখনউ সুপার জাযান্টস। কুইন্টন ডিকক ও লোকেশ রাহুলের দাপটে প্রথমে ব্যাট করে ২১০ রানের বিশাল স্কোর খাড়া করে লখনউ সুপার জায়ান্টস। সামনে বড় রানের টার্গেট দেখে চাপে পড়ে যান নাইট রাইডার্সের ব্যাটাররা। তার প্রতিফলন শুরুতেই দেখা যায়। প্রথম ওভারেই ধাক্কা। স্কোর বোর্ডে কোনও রান ওঠার আগেই চতুর্থ বলেই ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (০) তুলে নেন মহসীন খান। তৃতীয় ওভারে আবার ধাক্কা। এবার মহসীন ফেরান আইপিএলে অভিষেককারী নাইটদের ওপর ওপেনার অভিজিৎ টোমারকে। ৮ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন অভিজিৎ। ৯ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ঝড় তোলেন নীতীশ রানা ও শ্রেয়স আয়ার। দুজনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অষ্টম ওভারে আবার ধাক্কা। এবার নীতীশকে তুলে নেন কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। ২২ বলে ৪২ রান করে আউট হন নীতীশ। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান শ্রেয়স ও স্যাম বিলিংস। শ্রেয়সকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন মার্কাস স্টইনিস। ২৯ বলে ৫০ রান করেন শ্রেয়স। ২৪ বলে ৩৬ রান করে বিলিংস আউট হন। রাসেল করেন ৫।এরপর ম্যাচ জমিয়ে দেন রিঙ্কু সিং। ঝড় তুলে ১৫ বলে ৪০ রান করে তিনি দলকে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে দেন। স্টইনিসের বলে তিনি যখন আউট হন জয় থেকে ৩ রান দূরে নাইটরা। শেষ বলে দরকার ছিল ৩। কিন্তু উমেশ যাদাবকে (০) বোল্ড করে লখনউকে নাটকীয় জয় এনে দেন স্টইনিস। ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন স্টইনিস।টস জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন লখনউর দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। প্রথম দিকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেননি। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ওঠে ৪৪। এরপর ক্রমশ নাইট বোলারদের ওপর জাঁকিয়ে বসেন ডিকক ও লোকেশ রাহুল। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডিকক। অন্যদিকে, ৪১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন লোকেশ রাহুল।লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই দুই ওপেনারের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি নাইট উমেশ যাদবরা। আন্দ্রে রাসেলকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আইপিএলে জীবনের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডিকক। এদিন ৫৯ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।৬ বছর আগে ২০১৬ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১০৮। এদিন ডিককের ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন ডিকক। ৭০ বলে ১৪০ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ১০টি চার ও ১০টি ছয়। চলতি আইপিএলে এক ম্যাচে সবথেকে বেশি ৬ মারার রেকর্ডেরও অধিকারী হলেন। ৫১ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।

মে ১৯, ২০২২
খেলার দুনিয়া

দুরন্ত ডিককের ব্যাটে রেকর্ড, বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল লখনউ

কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ম্যাচটা একদিকে যেমন ছিল প্লে অফের ছাড়পত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, অন্যদিকে প্রথম দুইয়ে থাকারও লড়াই। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দারুণভাবে জ্বলে উঠল লখনউ। ২০ ওভারে তুলল ২১০/০। দুরন্ত সেঞ্চুরি করে দলকে বড় রানে পৌঁছে দেন কুইন্টন ডিকক। তাঁর ব্যাটে এদিন রেকর্ডের ছড়াছড়ি। চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ রান।নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার আগে প্রথম একাদশে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে লখনউ সুপার জায়ান্ট। চোটের জন্য প্রথম একাদশের বাইরে ছন্দে থাকা অলরাউন্ডার ক্রূণাল পান্ডিয়া। পরিবর্তে দলে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম। এছাড়া প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়েন আয়ূষ বাদোনি ও দুষ্মন্ত চামিরা। এই দুজনের জায়গায় প্রথম একাদশে সুযোগ পান মনন ভোরা এবং এভিন লুইস।এদিন সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন লখনউর দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডিকক। প্রথম দিকে খুব বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার চেষ্টা করেননি। তার মাঝেই একবার জীবন পান ডিকক। তৃতীয় ওভারে উমেশ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলেন নাইটদের হয়ে আইপিএলে অভিষেককারী অভিজিৎ টোমার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে লখনউ তোলে ৪৪।শুরুতে জীবন পেয়ে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ডিকককে। ক্রমশ নাইট বোলারদের ওপর জাঁকিয়ে বসেন। লোকেশ রাহুলও শুরুর জড়তা কাটিয়ে নিজেকে মেলে ধরেন। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডিকক। নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে জ্বলে ওঠা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন এই প্রোটিয়া ওপেনার। শেষ ৫ ম্যাচে চারটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। অন্যদিকে, ৪১ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন লোকেশ রাহুল।লখনউ সুপার জায়ান্টসের এই দুই ওপেনারের ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারেননি নাইট উমেশ যাদবরা। ১৭.১ ওভারে ১৫০ রানে পৌঁছে যায় লখনউ সুপার জায়ান্টস। আন্দ্রে রাসেলকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে আইপিএলে জীবনের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন ডিকক। এদিন ৫৯ বলে তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।৬ বছর আগে ২০১৬ সালে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে করেছিলেন ১০৮। এদিন ডিককের ব্যাটে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। চলতি আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেললেন ডিকক। ৭০ বলে ১৪০ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ১০টি চার ও ১০টি ছয়। চলতি আইপিএলে এক ম্যাচে সবথেকে বেশি ৬ মারার রেকর্ডেরও অধিকারী হলেন। ৫১ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন লোকেশ রাহুল।

মে ১৮, ২০২২
খেলার দুনিয়া

পাঞ্জাবকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি

পাঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে প্লে অফের লড়াই জমিয়ে দিল দিল্লি ক্যাপিটালস। ১৭ রানে জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে টপকে উঠে এল লিগ টেবিলের চার নম্বরে। একই সঙ্গে জমিয়ে দিল প্লে অফের লড়াই। একমাত্র দল হিসেবে গুজরাট টাইটান্স প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি কোন তিনটি দল শেষ চারে যাবে, এখনও চূড়ান্ত নয়। প্লে অফের ছাড়পত্রের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের কাছে ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সামনে কম রানের লক্ষ্য নিয়েও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় হেরে প্লে অফের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল পাঞ্জাব কিংস। জিতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ওপর চাপ বাড়াল দিল্লি ক্যাপিটালস। দুরন্ত বোলিং করে দলকে জয় এনে দিলেন কুলদীপ যাদবরা। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় এদিন পাঞ্জাব কিংসের সামনে বড় রানের লক্ষ্য দিতে পারেনি ঋষভ পন্থের দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলেছিল ১৫৯/৭। ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করেছিল পাঞ্জাব কিংস। ৩.৪ ওভারে তুলে ফেলে ৩৮। এরপরই ধাক্কা। জনি বেয়ারস্টকে তুলে নেন এনরিখ নরটিয়ে। ১৫ বলে ২৮ রান করেন বেয়ারস্ট। ২ ওভার পরেই ভানুকা রাজাপক্ষেকে (৪) শার্দুল ঠাকুর। একই ওভারে তুলে নেন শিখর ধাওয়ানকে (১৬ বলে ১৯)। এরপরই ধস নামে পাঞ্জাব ইনিংসে। একে একে ফিরে যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল (০), লিয়াম লিভিংস্টোন (৩), হরপ্রীত ব্রার (১), ঋষি ধাওয়ান (৪)। ৮২ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারায় পাঞ্জাব কিংস। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে তোলে ১৪২/৯। জিতেশ শর্মা করেন ৪৪, রাহুল চাহার ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। এদিন টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার (০)। চলতি আইপিএলে তিনি প্রথমবার গোল্ডেন ডাকের শিকার। সরফরাজ খান (১৬ বলে ৩২) ওপেন করতে নেমে ঝড় তোলেন। ২১ বলে ২৪ রান করেন ললিত। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। মিচেল মার্শের লড়াকু ব্যাটিং দিল্লিকে ১৫৯/৭ রানে পৌঁছে দেয়। ৪৮ বলে ৬৩ রান করেন মার্শ। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন।

মে ১৭, ২০২২
খেলার দুনিয়া

পাঞ্জাব কিংসের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়তে ব্যর্থ দিল্লি ক্যাপিটালস

চলতি আইপিএলে একমাত্র দল হিসেবে গুজরাট টাইটান্স প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে। বাকি কোন তিনটি দল শেষ চারে যাবে, এখনও চূড়ান্ত নয়। লড়াইয়ে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস, লখনউ সুপার জায়ান্টস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংস। সোমবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাঠে নেমেছে পাঞ্জাব ও দিল্লি। যে দল জিতবে, তারা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে সরিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় রান তুলে পাঞ্জাব কিংসকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস।টস জিতে দিল্লি ক্যাপিটালসকে ব্যাট করতে পাঠান পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল। প্রথম একাদশে এদিন দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নেমেছে দিল্লি। চেতন সাকারিয়ার জায়গায় দলে ফেরানো হয়েছে খলিল আমেদকে। আর শ্রীকার ভরতের জায়গায় সরফরাজ খান। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও পৃথ্বী শ এখনও খেলার মতো জায়গায় আসেননি। তাই তাঁকে নিয়ে ঝুঁকি নেয়নি দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট। আগের দুটি ম্যাচে শ্রীকার ভরত। তাই তাঁর পরিবর্তে সরফরাজ খানকে খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি টিম ম্যানেজমেন্ট।ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ধাক্কা খায় দিল্লি ক্যাপিটালস। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে রাহুল চাহারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার (০)। চলতি আইপিএলে তিনি প্রথমবার গোল্ডেন ডাকের শিকার। এদিন অনভ্যস্ত জায়গায় ব্যাট করতে নেমে সফল সরফরাজ খান। আদতে তিনি মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন। এদিন ওপেন করতে পাঠানো হয়েছিল। শুরু থেকেই তিনি ঝড় তোলেন। ১৬ বলে ৩২ রান করে অর্শদীপের বলে রাহুল চাহারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন।৫১ রানে ২ উইকেট হারানোর পর দিল্লিকে টেনে নিয়ে যান মিচেল মার্শ ও ললিত যাদব। ২১ বলে ২৪ রান করে ফিরে যান ললিত। ১১ ওভারে ৯৮ রান তুলে ফেলে দিল্লি। মনে হচ্ছিল পাঞ্জাবের সামনে বড় রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। পরপর ফিরে যান ঋষভ পন্থ (৭) ও রভম্যান পাওয়েল। ১১২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দিল্লি। মিচেল মার্শের লড়াকু ব্যাটিং চাপ কাটায় দিল্লির। ৪৮ বলে ৬৩ রান করে কাগিসো রাবাডার বলে আউট হন মার্শ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৯ রানে পৌঁছয় দিল্লি। ২৭ রানে ৩ উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ৩১ রানে ২ উইকেট অর্শদীপ সিংয়ের।

মে ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌ব্যর্থতার দিক দিয়ে কোহলিকে টেক্কা রোহিতের, চিন্তিত নন সৌরভ

চলতি আইপিএল বেশ কয়েকজন নতুন তারকার জন্ম দিয়েছে। উঠে এসেছেন উমরান মালিক, মহসীন খান, কুলদীপ সেনের মতো জোরে বোলাররা। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে সবথেকে চিন্তার বিষয় দুই মহাতারকার ফর্ম। এবছর একেবারেই ফর্মে নেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। এই দুই মহাতারকার অফফর্ম চিন্তা বাড়াচ্ছে ভারতীয় দলকে।অনেকেই কোহলির ব্যর্থতা বড় করে দেখছেন। কিন্তু চলতি আইপিএলে তাঁকেও ছাপিয়ে গেছেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ১৩ ম্যাচে ২৩৬ রান করেছেন বিরাট কোহলি। গড় ১৯.৬৭, স্ট্রাইক রেট ১১৩.৪৬। একটা মাত্র হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন। সর্বোচ্চ রান গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ৫৮। তিনতিনবার গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এর আগে তাঁর সবথেকে খারাপ পারফরমেন্স ছিল প্রথম আইপিএলে। ২০০৮ আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ১৬৫ রান করেছিলেন কোহলি। গড় ছিল ১৫, স্ট্রাইক রেট ১০৫.০৯। ১৪ বছর পর আবার খারাপ পারফরমেন্স কোহলির। তাঁর থেকে খারাপ অবস্থা রোহিত শর্মার। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ১২ ম্যাচে করেছেন ২১৮ রান। গড় ১৮.৪৩। স্ট্রাইক রেট ১২৫.২৮। সর্বোচ্চ রান ৪৩।আইপিএলের পরই দেশের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের টি২০ সিরিজ খেলবে ভারতীয় দল। এই সিরিজে ফর্মে ফেরার সুযোগ ছিল কোহলি ও রোহিতের কাছে। কিন্তু জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজের কথা মাথায় রেখে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজে দলের এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিশ্রাম দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কারণ ইংল্যান্ড সিরিজ থেকে ঠাসা ক্রীড়াসূচি ভারতের।দুই মহাতারকার সাম্প্রতিক ফর্ম নিয়ে অবশ্য চিন্তিত নন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলি। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, রোহিত বা বিরাটের ফর্ম নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন নই। দুজনেই বড় ক্রিকেটার। টি২০ বিশ্বকাপ অনেক দুরে রয়েছে। আশা করছি বিশ্বকাপের আগেই দুজনে ফর্মে ফিরবে। চলতি আইপিএলে যে কজন তারকার জন্ম হয়েছে, তাদের মধ্যে উমরান মালিক, কুলদীপ সেনকে যথেষ্ট মনে ধরেছে সৌরভের। তিনি বলেন, চলতি আইপিএলে জোরে বোলাররা যেভাবে আধিপত্য দেখাচ্ছে, দেখে ভাল লাগছে। মুম্বই ও পুনের উইকেট খুবই ভাল। জোরে বোলাররা উইকেট থেকে ভাল বাউন্স আদায় করে নিচ্ছে। উমরানকে জাতীয় দলে নেওয়া হলে অবাক হব না। ওকে সাবধানে ব্যবহার করতে হবে। কুলদীপের কথাও বলব। ডেথ ওভারে যথেষ্ট বৈচিত্র নিয়ে বল করছে।

মে ১৬, ২০২২
খেলার দুনিয়া

আবার ব্যর্থ বাটলার, তবু লখনউ–র সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রাজস্থান

একদলের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ১৬, অন্য দলের ১৪। দুই দলের সামনেই প্লে অফে যাওয়ার সুযোগ। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জিতলেই এদিনই প্লে অফ নিশ্চিত লখনউ সুপার জায়ান্টসের, যারা ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে, লখনউর বিরুদ্ধে জিতলে রাজস্থানের সামনেও প্লে অফের টিকিট নিশ্চিত হওয়ার হাতছানি। এইরকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বড় রান তুলে লখনউর সামনে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে তুলল ১৭৮। এদিনও রান পেলেন না জস বাটলার। তাসত্ত্বেও বড় রান রাজস্থান রয়্যালসের। এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। আগের ম্যাচে শিমরন হেটমায়ারের পরিবর্তে রাসি ভ্যান ডার ডুসেনকে প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়েছিল রাজস্থান। নিজেকে একেবারেই মেলে ধরতে পারেননি ডুসেন। এদিন তাঁর পরিবর্তে জিমি নিশামকে প্রথম একাদশে সুযোগ দেয় রাজস্থান টিম ম্যানেজমেন্ট। ডুসেনের ব্যর্থতা ছাড়াও বাইশ গজে ঘাসের কথা মাথায় রেখেছিল। এছাড়া কুলদীপ সেনের জায়গায় ওবেদ ম্যাককয়কে প্রথম একাদশে নেওয়া হয়।ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় রাজস্থান। যার ওপর বেশি ভরসা, সেই জস বাটলার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধেও রান পেলেন না। তৃতীয় ওভারে আবেশ খানের বলে বোল্ড হন বাটলার। ৬ বলে করেন মাত্র ২ রান। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে টেনে নিয়ে যান যশস্বী জয়সোয়াল ও অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। জুটিতে ওঠে ৬৪। ২৪ বলে ৩২ রান করে আউট হন সঞ্জু। তাঁকে তুলে নেন জেসন হোল্ডার। ২ ওভার পরেই ফেরেন যশস্বী জয়সোয়াল। ২৯ বলে তিনি করেন ৪১। ক্রিজে নেমে ঝড় তোলেন দেবদত্ত পাড়িক্কল। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৩৯ রান করে তিনি রবি বিষ্ণোইয়ের বল ক্রূণাল পান্ডিয়ার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শিমরন হেটমায়ারের অভাব আবার ফুটে উঠল। ভ্যান ডার ডুসেনের পরিবর্তে এদিন সুযোগ পেয়ে জিমি নিশামও ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে পারেননি। ১২ বলে মাত্র ১৪ রান করে তিনি রান আউট হন। নিশাম আউট হওয়ার ৩ বল আগেই ফিরে যান রিয়ান পরাগ (১৬ বলে ১৭)। ৭ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ট্রেন্ট বোল্ট ৯ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। লখনউর হয়ে ২টি উইকেট নেন রবি বিষ্ণোই।

মে ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখল নাইটরা

সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৫৪ রানে হারিয়ে প্লে অফের স্বপ্ন জিইয়ে রাখল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নাইটদের জয়ের নায়ক আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট ও বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এই ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারের।বড় রান তাড়া করতে গেলে শুরুটা ভাল হওয়া জরুরি। কিন্তু উমেশ যাদবের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠার সুযোগ পাননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রারম্ভিক ব্যাটাররা। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ওঠে মাত্র ৩১ রান। তার মাঝেই হারাতে হয় ১ উইকেট। নিজের প্রথম ওভারেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে তুলে নেন আন্দ্রে রাসেল। ১৭ বলে মাত্র ৯ রান করে বোল্ড হন উইলিয়ামসন। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন রাসেল। উইলিয়ামসন আউট হলেও নিজের ছন্দ ধরে রাখেন অভিষেক শর্মা। ইনিংসের অষ্টম ও সুনীল নারাইনের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে পরপর দুটি ছয় মারেন। নারাইনের ওই ওভারে ওঠে ১৭ রান। পরের ওভারে রাহুল ত্রিপাঠিকে তুলে নিয়ে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আবার ধাক্কা দেন টিম সাউদি। ১২ বলে ৯ রান করে সাউদির বলে তাঁর হাতেই ক্যাচ দেন ত্রিপাঠি। দ্বাদশ ওভারের পঞ্চম বলে অভিষেককে তুলে নেন বরুণ চক্রবর্তী। ২৮ বলে ৪৩ রান করে আউট হন অভিষেক। পরের ওভারেই নিকোলাস পুরানকে (২) তুলে নেন নারাইন। তখনই জয়ের আশা শেষ হয়ে যায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। ২২ রানে ৩ উইকেট নেন রাসেল।এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ছন্দে না থাকা ভেঙ্কটেশ আয়ার (৬ বলে ৭)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান অজিঙ্কা রাহানে ও নীতীশ রানা। জুটিতে ওঠে ৪৮ রান। নীতীশ রানাকে (১৬ বলে ২৬) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন উমরান মালিক। অজিঙ্কা রাহানেকেও (২৪ বলে ২৮) তুলে নেন তিনি। শ্রেয়স আয়ারও (১৫) দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ। রিঙ্কু সিংও (৫) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। স্যাম বিলিংস ও আন্দ্রে রাসেলের দাপটে ১৭৭/৬ রানে পৌঁছয় নাইটরা। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৩ রান। ২৯ রানে ৩৪ রান করেন বিলিংস। শেষ দিকে ঝড় তুলে ২৮ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসেল। মারেন ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক।

মে ১৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

রাসেলের দাপটে বড় রান তুলে হায়দরাবাদকে চ্যালেঞ্জ কলকাতার

শনিবার আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লে অফের আশা টিকিয়ে রাখার জন্য দুই দলের কাছেই ম্যাচটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে দল হারবে, প্লে অফের লড়াই থেকে ছিটকে যাবে। মরণবাঁচন ম্যাচে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বড় রান তুলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলল ১৭৭/৬।এদিন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং-এর সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। প্রথম একাদশে দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে নাইটরা। প্রথম একাদশে ফিরেছেন উমেশ যাদব এবং স্যাম বিলিংস। অন্যদিকে, সানরাইজার্স হায়দরাবাদও দুটি পরিবর্তন করে মাঠে নামে। এদিন প্রথম একাদশে ঢোকেন ওয়াশিংটন সুন্দর এবং টি নটরাজন।ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি কলকাতা নাইট রাইডার্সের। দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ছন্দে না থাকা ভেঙ্কটেশ আয়ার। ৬ বলে ৭ রান করে মার্কো জানসেনের বলে তিনি বোল্ড হন। প্রাথমিক ধাক্কা সামলে দলকে টেনে নিয়ে যান অজিঙ্কা রাহানে ও নীতীশ রানা। দুজনের জুটিতে ওঠে ৪৮ রান। অস্টম ওভারের তৃতীয় বলে নীতীশ রানাকে (১৬ বলে ২৬) জুটি ভাঙেন উমরান মালিক। একই ওভারের শেষ বলে অজিঙ্কা রাহানেকেও তুলে নেন। ২৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন রাহানে। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ক্যাচ ধরেন শশাঙ্ক সিং। এক ওভার পরেই অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ারকেও তুলে নেন উমরান মালিক। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলকে নির্বরতা দিতে ব্যর্থ শ্রেয়স। এদিন ৯ বলে মাত্র ১৫ রান করে তিনি আউট হন। রিঙ্কু সিংও (৫) নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি।৯৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নাইট রাইডার্স মনে হচ্ছিল এদিন বড় রানে পৌঁছতে পারবেন না শ্রেয়স আয়াররা। কিন্তু ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন স্যাম বিলিংস ও আন্দ্রে রাসেল। দুজনের জুটিতে ওঠে ৬৩ রান। ২৯ রানে ৩৪ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে আউট হন বিলিংস। শেষ দিকে ঝড় তোলেন রাসেল। ২৮ বলে ৪৯ রান করে তিনি অপরাজিত থাকেন। মারেন ৩টি ৪ ও ৪টি ৬। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৭ রান তোলে নাইটরা। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন উমরান মালিক। ১টি উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার, মার্কো জানসেন এবং টি নটরাজন।

মে ১৪, ২০২২
খেলার দুনিয়া

সম্মান রক্ষার ম্যাচে মুম্বইয়ের কাছে লজ্জার হার ধোনিদের

সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে চূড়ান্ত অসম্মানিত ধোনি ব্রিগেড। আইপিএলের প্রায় গুরুত্বহীন ম্যাচে রোহিত শর্মার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কাছে হারতে হল ৫ উইকেটে। অঙ্কের বিচারে প্লে অফের যাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা ছিল চেন্নাইয়ের। স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে গেলে জিততেই হত চেন্নাইকে। কিন্তু জ্বলে উঠতে পারলেন না ধোনিরা। চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয় পরাজয়ের দিকে ঠেলে দিল চেন্নাইকে। ড্যানিয়েল স্যামস, যশপ্রীত বুমরা, রিলে মেরেডিথদের বোলিংয়ের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেন না ডেভন কনওয়ে, ঋতুরাজ গায়কোয়াররা।টস জিতে এদিন চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা চেন্নাই সুপার কিংসের। ড্যানিয়েল স্যামসের বল কনওয়ের প্যাডে লাগে। উইকেটে পড়ে লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও আম্পায়ার চিরা রবিকান্তরেড্ডি কনওয়েকে লেগ বিফোর আউট দেন। ওই সময় স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই ডিআরএসের সুবিধা নিতে পারেননি কনওয়ে (০)। ওই ওভারের চতুর্থ বলে মইন আলিকেও (০) তুলে নেন স্যামস। পরের ওভারে আবার দুর্ভাগ্যের শিকার চেন্নাই সুপার কিংস। এবার বুমরার শিকার রবিন উথাপ্পা (১)। তাঁকে এলবিডব্লু আউট দেন ক্রিস গাফানি। সেই বিদ্যাউৎ বিভ্রাটের জন্য উথাপ্পাও ডিআরএস নিতে পারেননি।পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ফর্মে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (৭) তুলে নেন ড্যানিয়েল স্যামস। ১৭ রানে ৪ উইকটে হারিয়ে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি। অম্বাতি রায়ুডু (১০) ও শিবম দুবেকে (১) তুলে নিয়ে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডারে ধস নামান রিলে মেরেডিথ। ডোয়েন ব্র্যাভো (১২) ও সিমরনজিৎ সিংকে (২) তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়া। মহেশ থিকসানাকে (০) ফেরান রমনদীপ সিং। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও লড়াই চালিয়ে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও দলকে ১০০ রানের গন্ডি পার করে দিতে পারেননি। ১৬ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় চেন্নাই। ৩৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন ড্যানিয়েল স্যামস। জয়ের জন্য ৯৮ রানের লক্ষ্য মোটেই কঠিন ছিল না মুম্বইয়ের কাছে। কম রানের পুঁজি নিয়েও দারুণ লড়াই শুরু করেন চেন্নাই বোলাররা। প্রথম ওভারেই ঈশান কিশনকে (৬) তুলে নেন মুকেশ চৌধুরী। ২ ওভার পরেই রোহিত শর্মাকে (১৮) ফেরান সিমরনজিত সিং। পঞ্চম ওভারে এক বলের ব্যবধানে ড্যানিয়েল স্যামস (১) ও ট্রিস্টান স্টুবাসকে (০) তুলে নিয়ে মুম্বইকে চাপে ফেলে দেন মুকেশ চৌধুরী। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারায় মুম্বই। এরপর মুম্বইকে টানেন ঋত্বিক সোকেন ও তিলক ভার্মা। ঋত্বিক (১৮) আউট হওয়ার পর মুম্বইকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিলক (অপরাজিত ৩৪) ও টিম ডেভিড (অপরাজিত ১৬)। ১৪.৫ ওভারে ১০৩/৫ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বই।

মে ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

বোলারদের উইকেট নয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার চেন্নাইয়ের দুই ব্যাটার

বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হতে হল ডেভন কনওয়ে ও রবিন উথাপ্পাকে। দুর্ভাগ্যের শিকার চেন্নাই সুপার কিংসও। গুরুত্বহীন ম্যাচে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়। ড্যানিয়েল সামস, যশপ্রীত বুমরা, রিলে মেরেডিথদের দাপটে ৯৭ রানের বেশি তুলতে পারল না চেন্নাই। ড্যানিয়েল সামসের বলে ডেভন কনওয়ে এলবিডব্লু। যশপ্রীত বুমরার বলে রবিন উথাপ্পাও। দুজনের আউট নিয়েই সন্দেহ ছিল। টিভি রিপ্লেতেও দেখা যায় দুজনে আউট ছিলেন না। ডিআরএসের সুযোগ থাকলেও নিতে পারেননি চেন্নাই সুপার কিংসের এই দুই ব্যাটার।দুই দলের সামনেই প্লে অফের সম্ভাবনা আগেই শেষ হয়ে গেছে। বাকি ম্যাচ শুধু সম্মান রক্ষার লড়াই। সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে চূড়ান্ত অসম্মানিতে চেন্নাই সুপার কিংস। টস জিতে এদিন চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স অধিনায়ক রোহিত শর্মা। দ্বিতীয় বলেই ধাক্কা চেন্নাই সুপার কিংসের। ড্যানিয়েল স্যামসের বল কনওয়ের প্যাডে লাগে। উইকেটে পড়ে লেগ স্টাম্পের বাইরে যাচ্ছিল। তা সত্ত্বেও আম্পায়ার চিরা রবিকান্তরেড্ডি কনওয়েকে লেগ বিফোর আউট দেন। ওই সময় স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ ছিল না। তাই ডিআরএসের সুবিধা নিতে পারেননি কনওয়ে (০)। ওই ওভারের চতুর্থ বলে মইন আলিকেও (০) তুলে নেন স্যামস।পরের ওভারে আবার দুর্ভাগ্যের শিকার চেন্নাই সুপার কিংস। এবার বুমরার শিকার রবিন উথাপ্পা (১)। তাঁকে এলবিডব্লু আউট দেন ক্রিস গাফানি। সেই বিদ্যাউৎ বিভ্রাটের জন্য উথাপ্পাও ডিআরএস নিতে পারেননি। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই ফর্মে থাকা ঋতুরাজ গায়কোয়াড়কে (৭) তুলে নেন ড্যানিয়েল স্যামস। ১৭ রানে ৪ উইকটে হারিয়ে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে চেন্নাই। সেখান থেকে আর ম্যাচে ফিরতে পারেননি। অম্বাতি রায়ুডু (১০) ও শিবম দুবেকে (১) তুলে নিয়ে চেন্নাইয়ের মিডল অর্ডারে ধস নামান রিলে মেরেডিথ। ডোয়েন ব্র্যাভো (১২) ও সিমরনজিৎ সিংকে (২) তুলে নেন কুমার কার্তিকেয়া। মহেশ থিকসানাকে (০) ফেরান রমনদীপ সিং। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকলেও লড়াই চালিয়ে যান মহেন্দ্র সিং ধোনি। যদিও দলকে ১০০ রানের গন্ডি পার করে দিতে পারেননি। ১৬ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় চেন্নাই। ৩৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন ধোনি। ১৬ রানে ৩ উইকেট নেন ড্যানিয়েল স্যামস। ২২ রানে ২ উইকেট কুমার কার্তিকেয়ার। ২৭ রানে ২ উইকেট নেন রিলে মেরেডিথ। ১২ রানে ১ উইকেট যশপ্রীত বুমরার।

মে ১২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

শিশুর মাদকাশক্তি! উদ্ধারের উপায়? আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে আলোচনা সভা বর্ধমানের স্কুলের

প্রতি বছর ২৬ জুন আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী ও অবৈধ পাচার প্রতিরোধ দিবস পালিত হয়। এই বিশেষ দিনটি আমাদের স্মরণ করায় মাদক ব্যবহারের ফলে কি ক্ষতি হতে পারে এবং এবং অবৈধ মাদক পাচারের জন্য স্মাজের কি সমস্যা হয়। মাদক শরীর, মন এবং ভবিষ্যতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মাদক সেবনের ফলে যেরকম শরীরের ক্ষতি হয় ঠিক সেইভাবে মাদক সেবন একটি মানুষকে সমাজের মুল স্রোত থেকে দুরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে একাকী করে তুলতে পারে। মাদক সেবন মানুষকে অসুস্থ করে তোলে এবং সুখী জীবন যাপন করতে বাধা দেয়।একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মাদক থেকে দূরে থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই মাদকের বিরুদ্ধে না বলতে হবে এবং বন্ধুদেরও মাদক থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করতে হবে। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী উপলক্ষে আজ সিএসআর বক্স থেকে কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ে এসেছিলেন শ্রেয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বয়ঃসন্ধির সময় ছাত্রছাত্রীরা প্রধানত বিদ্যালয়ে কিরকম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং কিভাবে তার সমাধান করা উচিত সে বিষয়ে বিসদে আলোচনা করলেন। শ্রেণিকক্ষে তথা বন্ধুবৃত্তে নানা মানসিকতার পড়ুয়া থাকে, কেউ কেউ বেশি বয়সেরও হয়। তারা নেশার মতো নানারকম ক্ষতিকর অভ্যাসের দিকে অন্যদের আকর্ষণ করে। সহপাঠীর কাছ থেকে খারাপ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে উপায়?বক্তা মদ খাওয়ার বিভিন্ন ক্ষতি ব্যাখ্যা করেন - শারীরিক আর মানসিক স্তরে। এইরকম খারাপ বন্ধু যেন সীমা লঙ্ঘন না করে এটা আগে থেকে দেখা উচিত। তিনি বলেন, কেউ প্রতিরোধ না করতে পারলে তৎক্ষণাৎ তোমদের শিক্ষকদের এবিষয়ে জানানো উচিত। যদি কোনও শিশু জোরপূর্বক মাদকাসক্তির শিকার হন, তাহলে ১০৯৮ নম্বরে ফোন করে প্রথমে শিশু সুরক্ষার জন্য সহায়তা চাইতে পারে, এবং তারা তোমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করবে। ১০৯৮ নম্বরে নেশা নিয়ে সমস্যার বিষয়ে জানানো যায়। বা গুরুজনদের কাউকে অবশ্যই বলা উচিত।বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর দীননাথ দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক ড.সুভাষচন্দ্র দত্ত জনতার কথাকে জানান, এই জাতীয় প্রোগ্রাম আমরা সবসময়েই স্বাগত জানাই। সমাজে নেশার ক্রমবর্ধমান প্রকোপের দিকে তাকিয়ে তাদের রক্ষা করা আমাদের সবার কর্তব্য।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

অরিজিৎ সিং বর্ধমানে? শুটিংয়ের জায়গা খুঁজতে গেলেন বাংলা সিনেমার গ্রামে

মঙ্গলবার ঠিক সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ অরিজিৎ সিং এলেন পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মৌখিড়া জমিদার বাড়ির কাছে। ঘুরে দেখলেন জেলার একমাত্র জঙ্গল মহলের কালিকাপুর রাজবাড়িও। ছবি তুললেন রাজবাড়ির পুরোহিত পিগলু ওরফে গোপাল চক্রবর্তীর সঙ্গে। তাকে নিরাপত্তাহীন জঙ্গলের বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরতে দেখে অবাক হন অনেকে। শোনা যায় সম্প্রতি অরিজিৎ সিং বোলপুরে এসেছেন এবার এলেন আউশগ্রামে হঠাৎই। জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং একটি নতুন ছবির শুটিংয়ের জন্য রেকি করতে এসেছেন বলে জানান চিত্রনাট্যকার, লেখক, আউশগ্রামের ভূমিপুত্র রাধামাধব মণ্ডল। তিনি আরও জানান, যে তিনি ইলামবাজার সংলগ্ন অঞ্চলে শুটিংয়ের জন্য বিভিন্ন জায়গা খুঁজছেন বেশ কয়েক দিন ধরেই। তাঁকে এদিন হঠাৎ করে আউশগ্রামের রাস্তায় দেখেই চমকে ওঠেন সকলে। যদিও তাঁর আশার বিষয়টি ছিল সম্পূর্ণ গোপনীয়।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশি গ্রেফতার

সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে দুই বাংলাদেশী যুবককে গ্রেপ্তার করলো রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে রঘুনাথগঞ্জের তেঘরি এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম কাইয়ুম রেজা (২৪)এবং জাহির রহমান(৩৫)। উভয়ের বাড়ি বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ। বুধবার ধৃতদের জঙ্গিপুর আদালতে পাঠায় পুলিশ। যদিও কি উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছিল ধৃতরা কিংবা কিভাবেই বা পার হয়ে এসেছে তারা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে। ধৃতদের পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয়ে চিকিৎসার জন্য ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণা, গ্রেফতার দুই

অভিনব কায়দায় ২১ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করলো বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে কয়েকজন পরিচিতের নাম বলে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার নিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর নভেম্বর মাসের ২ তারিখে পেট্রাপোল থানার পুরাতন বনগাঁ এলাকার বাসিন্দা অমিত হালদার বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ জানিয়ে বলেন, অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি বাংলাদেশী নাগরিক পরিচয় দিয়ে তার কয়েকজন পরিচিতের সুপারিশ নিয়ে তাকে চিকিৎসার জন্য টাকা ধার দিতে বলেন। ঐ ব্যক্তি ফোন মারফত বলেন, তিনি ভারতে চিকিৎসা করাতে আসবেন তার জন্য টাকা প্রয়োজন এবং তাকে ধার দিতে অনুরোধ করেন, আশ্বাস দেন টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন। অমিত বাবু তার কথায় তাকে ২১ লক্ষ টাকা ধার দেন এবং পরবর্তীতে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অমিত বাবুর অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই প্রতারক প্রানতোষ বনিককে শিলিগুড়ি থেকে এবং বিকাশ তামাংকে দার্জিলিং এর মিরিক থেকে গতকাল গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বুধবার ৬ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করেছে বনগাঁ সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে চায় এই প্রতারনার পিছনে আর কারা কারা জড়িত এবং এই প্রতারনার জাল কতদূর ছড়িয়েছে।

জুন ২৬, ২০২৫
রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal